Posted By : iftekhar May 29, 2019
যে সব কোম্পানির শেয়ারের ফেস ভেল্যু ক্রমাগত কমে যাচ্ছে, সে সব কোম্পানির ব্যাপারে কি ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়?
সাধারণত যে সব কোম্পানি ক্রমাগত লোকসান দেয়, উৎপাদন বন্ধ রাখে সে সকল কোস্পানীর শেয়ারের ফেস ভেল্যু ক্রমাগত কমতে দেখা যায়। বিনিয়োগকারীদের উচিত সবসময় কোম্পানির উৎপাদন, পণ্যের বাজারজাতকরণ, বিক্রয় ইত্যাদির প্রতি সবসময় খোঁজখবর নেওয়া। শেয়ারের ফেস ভেল্যু ক্রমাগত কমে যেতে দেখা দিলে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বিএসইসি/স্টক এক্সচেঞ্জ এই ব্যাপারে স্পেশাল অডিটর নিয়োগ করে কোম্পানির হিসাব নিরীক্ষার মাধ্যমে তহবিল ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয়, সম্পদ, দায় দেনার প্রকৃত হিসাব পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিলে বহু কোম্পানির অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সরকারকে কোম্পানি’জ অ্যাক্টের আওতায় কস্ট অডিটর নিয়োগ করে ব্যবস্থাপনার ধরন, মান, কাঁচামাল ক্রয় ও ব্যবহার হিসাব, বেতন ও মজুরি হিসাব গভীরভাবে নিরীক্ষণ (In-depth Audit) করার ব্যবস্থা নিলে অসাধু উদ্যোক্তা বা কম দক্ষ উদ্যোক্তাগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন। এর ফলে আলোচ্য অবস্থার উন্নতি সম্ভব। এছাড়া আইনের কোনো ঘাটতি থাকলে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের তথাকথিত রুগ্ন কোম্পানিগুলো সুস্থ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ বর্তমান শেয়ারবাজারের প্রেক্ষাপটে জেড (ত) ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে একটি সময়সীমার মধ্যে তাদের বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিএসইসি, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং তাদের ব্যাংক-এর সমন্বয়ে কাউন্সিলিং পরিষদ গঠন করে অবস্থার উন্নতি ঘটানো যেতে পারে। এ ধরনের কোম্পানিকে কোনো অবস্থাতে ডিলিস্টিং হতে দেওয়া উচিত নয়। অসাধু উদ্যোক্তাদেরকে কোনোভাবে ডিলিস্টিং-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নাগালের বাইরে যেতে দেওয়া উচিত হবে না।
ইনভেস্টর ফোরাম বা এসোসিয়েশন করে রুগ্ন কোম্পানিগুলো এজিএম-এ রুগ্নতার কারণ ও ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা যুগপোযোগী করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারলেও অবস্থার উন্নতি হবে। এক কথায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ আন্তরিক হলে অবস্থার উন্নতি হবে। অন্যথায় রুগ্ন ইস্যুয়ারদেরকে শেয়ারবাজার থেকে মাইনরিটি শেয়ার হোল্ডারের দায় পরিশোধের মাধ্যমে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়কে এই ব্যাপারে বিএসইসি’র মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে হবে। আইনের সীমাবদ্ধতা থাকলে নুতন আইন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুঁজিবাজারের সংস্কার সময়ের দাবি। অবহেলা করা উচিত হবে না।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এফসিএমএ
প্রাক্তন সভাপতি(১৯৯৫)আইসিএমএবি
ব্যবস্থাপনা পরিচালক,
আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ট্রেক নং-১০৬,
চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ ট্রেক নং-০০৫,
লেখক: ” শেয়ার বাজার জিজ্ঞাসা”
2013 All right reserved Island Securities Limited